| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল চবির ঘটনায় প্রশাসনের দুর্বলতা দেশকে অস্থিতিশীল পাঁয়তারা কিনা খতিয়ে দেখতে হবে : ইসলামী আন্দোলন


চবির ঘটনায় প্রশাসনের দুর্বলতা দেশকে অস্থিতিশীল পাঁয়তারা কিনা খতিয়ে দেখতে হবে : ইসলামী আন্দোলন


রহমত নিউজ     01 September, 2025     11:36 AM    


চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশাসনের দুর্বলতা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা কিনা খতিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

রোববার (৩১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শনিবার রাত বারোটা থেকে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা শুরু করে কথিত এলাকাবাসী। পত্রিকার ভাষ্যমতে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। আজকে রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যাতে প্রশাসন বিভাগের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভির মুহাম্মাদ হায়দার আরিফসহ ১৮০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। 

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, নানা মাধ্যমে আমরা হতাহতের যে চিত্র দেখেছি তাতে এটাকে নিছক এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষ বলে বিবেচনা করার সুযোগ নাই। বরং পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপরে নৃশংসতা চালানো হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উপ-উপচার্য ডক্টর কামাল উদ্দিনের বক্তব্য। তিনি মিডিয়ার সামনে কান্না বিজরিত কণ্ঠে বলেছেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হেলমেট পরে হামলা করেছে। একই সাথে তিনি বলেছেন, “আমি জিওসিকে ফোন করেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কথা বলেছি। কিন্তু দুইঘন্টা হয়ে গেলো কিন্তু এখনো কেউ আসে নাই”। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব বলেন, এই অংশটা তাৎপর্যপূর্ণ। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের দুরুত্ব মাত্র ১১.১ কিলোমিটার। সেনাবাহিনী মাঠে মোতায়েনও করা আছে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাটহাজারী থানার দূরত্ব মাত্র ৫.৯ কিলোমিটার। এতো অল্প দুরত্বে অবস্থান করা সত্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা হচ্ছে, প্রোভিসি প্রশাসন অনুরোধ করছে তারপরেও দুইঘন্টাতেও ঘটনাস্থলে পৌছাতে না পারার বিষয়টা কি রহস্যজনক না? একই সাথে এতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফোন করার পরেও এতো ধীর প্রতিক্রিয়া কি স্বাভাবিক?

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে আমরা হতাশ হয়ে যাচ্ছি। নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর থেকেই দেশ যেনো ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। মানুষের নিরাপত্তা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জোড়ালোভাবে। এটা আমাদেরকে ভাবিত করছে। আমরা সংশ্লিটদের প্রতি আহবান জানাবো, পরিস্থিতির তদন্ত করুন। কেউ ইচ্ছাকৃত কোন অপরাধ করলে তাকে বা তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনুন। কারো অবহেলা থাকলে তার সংশোধন করুন। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর হতে দেয়া যাবে না এবং কোনভাবেই ফ্যাসিবাদকে সুযোগ দেয়া যাবে না।